খুলনার পাইকগাছায় পুলিশের সহযোগিতায় ও নছিমন চালকের সততায় কুমারেশ নামে এক ব্যক্তি ফেরৎ পেল ৭০,০০০ হাজার টাকা। কুমারেশ বৈরাগী উপজেলার দেলুটির কৃষ্ণপদ বৈরাগীর ছেলে। সে মঙ্গলবার সাড়ে আটটার দিকে সোলাদানা বাজার হতে ইঞ্জিন চালিত নছিমনে পাইকগাছায় রুপালী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসছিলো। নছিমন চালক ছিল সোলাদানা ইউপি'র বয়ারঝাপা গ্রামের হালিম খাঁর ছেলে নাঈম খাঁ।
খুলনার পাইকগাছায় পুলিশের সহযোগিতায় ও নছিমন চালকের সততায় কুমারেশ নামে এক ব্যক্তি ফেরৎ পেল ৭০,০০০ হাজার টাকা। কুমারেশ বৈরাগী উপজেলার দেলুটির কৃষ্ণপদ বৈরাগীর ছেলে। সে মঙ্গলবার সাড়ে আটটার দিকে সোলাদানা বাজার হতে ইঞ্জিন চালিত নছিমনে পাইকগাছায় রুপালী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসছিলো। নছিমন চালক ছিল সোলাদানা ইউপি'র বয়ারঝাপা গ্রামের হালিম খাঁর ছেলে নাঈম খাঁ।
পথিমধ্যে পারিশামারী থেকে সাবেক প্রধান শিক্ষক কুমুদ রঞ্জন ঢালী যাত্রী হয়ে ঐ নছিমনে উঠে। পুর্ব পরিচিত হওয়ায় কুমারেশ বৈরাগী কুমুদ রঞ্জন ঢালীকে সামনের ছিটে বসার সুযোগ দিয়ে পিছনে গিয়ে বসেন।
এ সময় একটি কাপড়ের ব্যাগে থাকা নিজের ব্যবহৃত মোবাইলসহ ৭০,০০০ হাজার টাকার ব্যাগটি নছিমনের হুকে ঝুঁলিয়ে রাখে। সকাল ৯ টার দিকে কুমারেশ ও তার সঙ্গী মুকুল বিশ্বাস কোর্টের সামনে নেমে পড়লেও টাকার ব্যাগটি কিন্তু নছিমনে ঝুলানো ছিল।
পরবর্তীতে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে কুমারেশ বৈরাগীর টাকার ব্যাগের কথা মনে পড়ে। কিন্তু ততখনে অপরিচিত নছিমন চালক নাঈম কাঁঠ আনতে তালার উদ্দেশ্য রওনা দেয়। তবে নাঈমও জানতো না তার নছিমনে টাকার ব্যাগ ঝুঁলানো রয়েছে।
তাৎক্ষনিক কুমারেশ থানা পুলিশকে জানায়।
পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এএসআই গৌতম রায় কুমারেশ বৈরাগীর মোবাইলে বার-বার ফোন দেয়। নছিমন চালক তালা ব্রীজের কাছে পৌছে নাঈম তার মোবাইলে টাকা রিসার্জ করতে নামে। এসময় নছিমনের পিছনে ঝুঁলানো ব্যাগের মধ্যে মোবাইল রিংটন বেজে উঠলে সে রিছিভ করেন। পুলিশ তার পরিচয় সনাক্ত করে ঘটনাস্থলে তাকে দাড়াঁতে বলে। এক পর্যায়ে এএসআই গৌতম ব্যাগ থেকে টাকা উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে ওসি মোঃ ওবায়দুর রহমান ৭০,০০০ হাজার টাকাসহ মোবাইল কুমারেশ বৈরাগীর কাছে তুলে দেন এসময় কুমারেশ বৈরাগী থানা পুলিশ ও নছিমন চালকের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন।